ঢাকা , মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
দেশে অনিবন্ধিত কারখানা প্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় লাখ ডিআরইউতে জনশক্তি রফতানিকারকদের দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আওয়ামীপন্থি ৬১ আইনজীবীর জামিন স্থগিতই থাকছে রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির কারণে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের রাখাইনে করিডোর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে- কাদের গনি চৌধুরী ভারতীয় আধিপত্য-ধর্মীয় উগ্রতাসহ ৭ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট এনসিপির এস আলমসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন রপ্তানি বহুমুখীকরণে নানা বাধা, বিপর্যয়ের শঙ্কা পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সীমান্তে ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস ক্যানসারে আক্রান্ত বাইডেন গাজায় আরও দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় সরিয়ে নেয়ার খবর সত্য নয়: মার্কিন দূতাবাস আলোচনায় বসবে পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তান রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেলো অ্যাতলেতিকো সেভিয়ার সাথে জয় পেলো রিয়াল ভিয়ারিয়ালের কাছে হারের স্বাদ পেলো বার্সা আইপিএলে ডাক পেলেন মুজারাবানি এশিয়া কাপে থেকে নাম প্রত্যাহারের খবর অস্বীকার করলো বিসিসিআই পিএসএল খেলার জন্য এনওসি পেলেন মিরাজ এবার লাহোরে ডাক পেলেন মিরাজ

রপ্তানি বহুমুখীকরণে নানা বাধা, বিপর্যয়ের শঙ্কা

  • আপলোড সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১১:৩৮:০৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১১:৩৮:০৭ অপরাহ্ন
রপ্তানি বহুমুখীকরণে নানা বাধা, বিপর্যয়ের শঙ্কা
* সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগেও রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা যাচ্ছে না।
* একক পণ্য, একক বাজার বা একক অঞ্চল নির্ভরতার কারণে দেশের পণ্য রপ্তানিতে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।
* তৈরি পোশাক খাত থেকে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি আসে। পোশাকের পর দ্বিতীয় পণ্যের মধ্যে বড় ধরনের তফাত রয়েছে।
* স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বের হওয়ার জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ জরুরি।


পণ্যের বহুমুখীকরণ না হলে রপ্তানিতে বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়ছে। কারণ একক পণ্য ও একক বাজারনির্ভরতায় হঠাৎ বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগেও রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা যাচ্ছে না। বরং একক পণ্য, একক বাজার বা একক অঞ্চল নির্ভরতার কারণে দেশের পণ্য রপ্তানিতে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত থেকে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি আসে। পোশাকের পর দ্বিতীয় পণ্যের মধ্যে বড় ধরনের তফাত রয়েছে। অথচ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বের হওয়ার জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ জরুরি। কারণ এক পণ্যের ওপর নির্ভর করে যেসব দেশের এলডিসি উত্তরণ হয়েছে, তারাই পরে ঝুঁকিতে পড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৩ হাজার ২৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ৫০, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯, যুক্তরাজ্যে ১১ শতাংশ তৈরি পোশাক যায়। সমপ্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যের ওপর আগের ১৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ২৬ শতাংশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এক নির্বাহী আদেশে প্রথমে শুল্ক ৩৭ শতাংশ ঘোষণা করেছিল। পরে সেটি স্থগিত করে আগের শুল্কের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। ফলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যের ওপর আগে যেখানে ১৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো, এখন সেখানে তিন মাসের জন্য ২৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস জুলাই-মার্চে মোট ৩ হাজার ৭১৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে গত মার্চ মাসে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়াবিহীন জুতা, প্লাস্টিক, প্রকৌশল পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে।
সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশ থেকে ৩ হাজার ২৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। ওই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। মার্চে ৩৪৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে। ৯ মাসে ৮৫ কোটি ডলারের ওই পণ্য রপ্তানি হয়েছে। শুধু মার্চে ৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। অর্থাৎ পোশাকের তুলনায় ২ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার তফাৎ রয়েছে প্রথম আর দ্বিতীয় পণ্য রপ্তানি পণ্যের মধ্যে। তাছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮১ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। ওই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। তবে মার্চ মাসে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সূত্র আরো জানায়, পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্যৗ বাড়ানোর জন্য বিদেশে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি। সেজন্য নীতি ঠিক করতে হবে। করপোরেট ট্যাক্স হার কমাতে হবে। অন্যান্য দেশ কীভাবে রপ্তানি বাড়িয়েছে সে নীতি অনুসরণ করতে হবে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, দেশের রপ্তানি একটি পণ্যের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা উচিত। এটি এখন সময়ের দাবি। শুধু কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নির্ভর করে টিকে থাকা সম্ভব নয়। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উদ্ভাবনে যেতে হবে, নতুন বাজার খুঁজতে হবে। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য আমাদের দুর্নীতি দূর করতে হবে এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। সেজন্য ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সমস্যা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সহযোগী অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা আছে। যেকোনো সমস্যা সমাধান করা হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

ভারতীয় আধিপত্য-ধর্মীয় উগ্রতাসহ ৭ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট এনসিপির

ভারতীয় আধিপত্য-ধর্মীয় উগ্রতাসহ ৭ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট এনসিপির